সর্বশেষ

3/recent/ticker-posts

Header Ads Widget

‘আল্লায় যদি মারে বাঁচানোর কেউ নেই’

 



‘আল্লায় যদি মারে বাঁচানোর কেউ নেই। আর যদি আল্লায় করোনায় মৃত্যু রাখে তখন কেউ সামনেও আসবে না। তাই জীবনের শেষ ঈদ মনে করে মরার আগে পরিবার নিয়ে একটু আনন্দ করে যাই। যাতে কোনো আফসোস না থাকে। ছেলে-মেয়েদের স্কুল বন্ধ, খেলার মাঠে যেতে দিই না। দীর্ঘদিন ঘরে থেকে মোবাইলে আসক্তি বেড়ে কেমন জানি প্রতিবন্ধীদের মতো হয়ে যাচ্ছে। তাই ঝুঁকি নিয়ে একটু ঘুরতে আসলাম।’

এভাবেই কথাগুলো বলছিলেন লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে মেঘনার পাড়ে আলতাফ মাস্টারঘাটে ঘুরতে আসা গৃহবধূ শারমিন আক্তার, শিক্ষক মাহবুব আলম ও ব্যবসায়ী সুমন।

শনিবার সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আলতাফ মাস্টারের মাছ ঘাট ছিল দর্শনার্থীদের উপচে পড়া ভিড়।

প্রথম শ্রেণির পৌরসভা হলেও রায়পুরে পর্যটন কেন্দ্র না থাকায় ঈদে আশপাশে দল বেঁধে ঘুরছে তারা। নেই স্বাস্থ্যবিধি, নেই করোনার ভয়, মানছে না কেউ লকডাউন। সব কিছু উপেক্ষা করে মেঘনা নদীর পাড়ে এ ঘাটে এলাকায় মানুষের ঢল নেমেছে।

ঈদের আনন্দসহ এলাকার সৌন্দর্য উপভোগ করতে রায়পুর উপজেলাসহ আশপাশের উপজেলার ও বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ঈদের দিন থেকে বিনোদনপ্রেমী হাজারো মানুষ ভিড় করছেন।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, লকডাউনে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মেঘনা নদীর তীর ও খোলা জায়গায় ভিড় করছেন দর্শনার্থীরা। তাদের অনেকেই স্বাস্থ্যবিধি মানছেন না।

দর্শনার্থীরা বলছেন, ঈদ আনন্দ উপভোগে এ অসাধারণ মেঘনার তীরে ছুটে এসেছেন। 

দক্ষিণ এশিয়া মহাদেশের ঐতিহ্যবাহী মৎস্য প্রজনন ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, জিনের মসজিদ, হায়দরগঞ্জ নদীর পাড়ে, নতুনভাবে স্বীকৃতিপ্রাপ্ত খোয়াসাগড় দিঘিরপাড়, জমিদার বাড়িতে ঈদের দিন থেকে চোখে পড়ে উপচে পড়া ভিড়। লকডাউনের কারণে পর্যটনকেন্দ্র বন্ধ থাকায় তারা আশপাশের খোলা জায়গায় গাদাগাদি করে বসে সময় পার করছে। এ সময় অনেকেই ব্যস্ত সেলফি নিয়ে। এ ছাড়া সদরে শিশু পার্কেও ঈদ আনন্দ উদযাপন করতে হাজারো দর্শনার্থী ভিড় করছে।

পর্যটনকেন্দ্রগুলো বন্ধ থাকলেও পর্যটনকেন্দ্রের সামনে, রাস্তায়, গাছতলায় এবং খোলা জায়গায় বিভিন্ন মালামাল, খাবার ও চটপটির দোকান এবং কারুপণ্যের পসরা নিয়ে বসেছেন মৌসুমি ব্যবসায়ীরা। মেঘনার তীর ঘেঁষে বিভিন্ন ব্যবসায়ী পসরা সাজিয়ে বসে আছেন। তবে তাদের কারো মুখে নেই মাস্ক।

মেঘনা নদীর তীরে কারুপণ্যের দোকানি হামিদ হোসেন বলেন, দীর্ঘদিন মাছ ঘাটটি বন্ধ থাকায় পরিবার নিয়ে বেঁচে থাকা কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই জীবনের ঝুঁকি নিয়েই তারা ব্যবসা করছেন।

রায়পুর থানার ওসি আবদুল জলিল বলেন, সবারই স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা উচিত। সবাইকে অনুরোধ জানানো হয়েছে, যেন সবাই লকডাউন মেনে চলে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ